।।বিকে রিপোর্ট।।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন।
মঙ্গলবার ৬ মে সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছবেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় চেয়ারপারসনের ছবি, প্লেকার্ড, দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তারা সড়কের পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সড়ক বন্ধ না করতে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ট্রাফিক পুলিশেরও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকায়।
যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত এলাকায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত এলাকায়। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত এলাকায়।
শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত এলাকায়।
পেশাজীবী সংগঠনগুলো অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত এলাকায়। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত এলাকায়।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে নির্যাতিত হয়ে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলে কারাবন্দি মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন।
এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন। গণতন্ত্রে উত্তরণের এই সময়ে তার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণে সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন- দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শার্মিলা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা করেন খালেদা জিয়া। এ সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কাতারে যাত্রাবিরতিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন কাতারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলথানির সৌজন্যে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন থেকে দোহা হয়ে ঢাকার পথে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।