শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬-এর ক্যাম্পেইন শুরু: টিজার প্রকাশ বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে : মির্জা ফখরুল টিউবওয়েল বসাতে গিয়ে মেলে গ্যাস: ছয় মাস ধরে চলছে সেই গ্যাসে রান্না তৃতীয়বারের মতো জামায়াতের আমির নির্বাচিত হলেন ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর হবে বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা আপিলের শুনানি পর্যবেক্ষণ নেপালের প্রধান বিচারপতির পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, অনুমোদনের জন্য যাবে উপদেষ্টা পরিষদে ঝটিকা মিছিলের জন্য দেওয়া হয় মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা- নেতারা পান ১০ হাজার গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে এখনো বাধা দিচ্ছে ইসরাইল : চুক্তি ভেঙ্গে হামলা অব্যাহত এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে নীতিনির্ধারণী উদ্যোগ

গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে এখনো বাধা দিচ্ছে ইসরাইল : চুক্তি ভেঙ্গে হামলা অব্যাহত

  • আপলোড টাইম : ১১:৩২ এএম, রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ Time View
ছবি: বিবিসি

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও প্রতিশ্রুত ত্রাণের মাত্র এক-চতুর্থাংশ ঢুকতে দিচ্ছে ইসরায়েল। অর্থাৎ মোট ত্রাণের ৭৫ শতাংশই আটকে রেখেছে দেশটি।

অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা ও মানবিক সংকট।

রবিবার ২ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল গাজায় প্রতিশ্রুত ত্রাণসামগ্রীর খুব সামান্য অংশই প্রবেশ করতে দিচ্ছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট ভয়াবহভাবে বেড়েছে। আর এর দায় সম্পূর্ণ ইসরায়েলের।

এমন অবস্থায় “কোনও শর্ত বা বিধিনিষেধ ছাড়াই” ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

মূলত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ত্রাণ প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গাজার অধিকাংশ মানুষ এখনো খাবার, পানি, ওষুধসহ মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকটে রয়েছেন।

এছাড়া দুই বছরের লাগাতার ইসরায়েলি হামলায় বহু পরিবার এখনো আশ্রয়হীন। ঘরবাড়ি ও পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক গত বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রুট পরিবর্তনের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, এখন কনভয়গুলোকে মিসরের সীমান্তঘেঁষা ফিলাডেলফি করিডর হয়ে উপকূলীয় সংকীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে, যা মারাত্মকভাবে যানজটে আক্রান্ত।

তিনি আরও জানান, ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারে অতিরিক্ত সীমান্তপথ ও অভ্যন্তরীণ রুট চালুর প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবারও গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস এলাকায় বিমান, কামান ও ট্যাংকের গোলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বদিকে কয়েকটি আবাসিক ভবনও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, খান ইউনিসে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি ড্রোন আর ভারী গোলাবর্ষণে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। এসব এলাকা কথিত ‘হলুদ রেখা’-এর বাইরে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।

ইসরাইলি নেতারা সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছেন, হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। কারণ তারা এখনো নিহত ইসরাইলি বন্দিদের সব দেহাবশেষ ফেরত দেয়নি।

অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে গাজার ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মৃতদেহ উদ্ধার কার্যক্রম জটিল হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ইসরাইল ভারী যন্ত্রপাতি ও বুলডোজার প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রয়োজন।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech