।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনটি জেনেভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার ৫ মার্চ (বাংলাদেশ সময়) সন্ধ্যা ৬টার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সংস্কারের ফলাফল ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। জেনেভা থেকে এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে গত সোমবার ভলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করেন, তাদের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে সত্য বলা, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ, নিরাময় ও সংস্কারে সহায়ক হবে।
জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম অধিবেশনে বৈশ্বিক আপডেট জানানোর সময় তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্ত করাটাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
তুর্ক বলেন, গত বছর সহিংসতার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। কারণ তৎকালীন সরকার ‘মানবাধিকারকে মশাল হিসাবে বহন করা একটি ছাত্র আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন’ করেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন এই যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধান দলের ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে জুলাই ও আগস্টে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মিলিটারি রাইফেল এবং প্রাণঘাতী মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানে নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের শটগান সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে। বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। কেউ কেউ আজীবনের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।