।।বিকে রিপোর্ট।।
‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।
রবিবার ১ জুন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে তা দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন।
জুলাই-আগস্ট জুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায় করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এসময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম রবিবার দুপুর ১২টার পর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৪ আগস্ট সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছর ১৪ অক্টোবর।
ছয় মাস ২৮ দিনে তদন্ত শেষ করে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনার দায়সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের নির্ধারিত তারিখ থাকলেও আজ (রবিবার) তা দাখিল করার কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর।
প্রসংগত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।