Breaking News:


শিরোনাম :
খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না, প্রশ্ন তারেক রহমানের আলোচনার মাঝেও হামলা অব্যহত, ইসরাইলের কারণে আটকে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মোংলা বন্দরে একটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন, চারটি দ্রুত এগোচ্ছে  খুনিরা যে দলেরই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে : ডিএমপি সারাদেশে আরও ৫ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির আভাস সোহাগকে হত্যার নেপথ্যে কী, প্রাথমিক তদন্তের ফল জানাল পুলিশ সরকার কোনোভাবেই মব জাস্টিস বরদাশত করে না: রিজওয়ানা হাসান মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকান্ড: ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি

  • আপলোড টাইম : ১১:১০ এএম, বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ৩৫ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ নামে পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৭ জুন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শিরোনামে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

এটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত পূর্বের বিশেষ সেল বিলুপ্ত হয়েছে, যা এত দিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নতুন এই অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের আদর্শ ও ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকায় অধিদপ্তরের সদর দপ্তর স্থাপন করা হবে, তবে প্রয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

এ অধিদপ্তর শহীদদের তালিকা ও ডেটাবেজ সংরক্ষণ করবে এবং সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের জন্য দেশি–বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের একটি তহবিল থাকবে, যার নাম হবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন তহবিল’। এতে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদান গ্রহণযোগ্য হবে।

তাছাড়া, অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালাতে পারবে। শহীদদের গণকবর ও সমাধি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিফলক স্থাপন করাও তাদের দায়িত্বের আওতায় থাকবে।

অধ্যাদেশে প্রতারণার আশঙ্কা রোধে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শহীদ পরিবার বা আহত যোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা নিতে চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা গৃহীত সুবিধার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করা হবে।  

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech