।।বিকে রিপোর্ট।।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যা দুপুর ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার ১ অক্টোবর সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
তবে দিনের তাপমাত্রা সাধারণত ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২০৬ মিলিমিটারের ভারী বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উল্লেখ্য, ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে গণ্য করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে বেসরকারী ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাম তাঁর নিয়মিত পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চট্রগ্রাম বিভাগের উত্তর-পশ্চিম দিকের, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের, খুলনা বিভাগের উত্তর দিকের জেলাগুলোর উপরে তীব্র বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, আজ ১ লা অক্টোবর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। তা আগামী ১২ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ঘুর্নিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশংকা জানিয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে আজ বুধবারের সকাল ৮ টার পর থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার মধ্যে দেশের ৮ টি বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপর বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবন, চট্রগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুরা জেলার উপরে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
বিশেষ নোটে তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপরে এখনও বর্ষা মৌসুম চলতেছে ও বর্ষা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে পূর্নাঙ্গ ঘুর্নিঝড় সৃষ্টি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করে না। ফলে সম্ভাবনা রয়েছে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্যের উপকূলের উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করার। তবে এই গভীর নিম্নচাপে প্রভাবে বাংলাদেশ, ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে ভারি বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে আগামী ৬ ই অক্টোবর পর্যন্ত।
গভীর নিম্নচাপটি যদি রেকর্ড ভঙ্গ করে শেষ পর্যন্ত ঘুর্নিঝড়ে পরিণত হয় তবে এর নাম হবে শক্তি।