।।বিকে রিপোর্ট।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জনতার ঢল নেমেছে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেস ওয়েতে। যা কুড়িল–বিশ্বরোড ৩০০ ফিট নামে কথিত।
তারক রহমানকে স্বাগত জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক সেখানে সমবেত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চের চারপাশে ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। অনেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলেছেন পুরো এলাকা। কেউ কেউ মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের, যখন দীর্ঘদিন পর স্বদেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান।

জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেস ওয়ের ডতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সড়কের দুই পাশে ও মাঝখানে বিপুলসংখ্যক মানুষ অবস্থান করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছেন।
বর্তমানে ৩০০ ফিট এলাকায় বাস, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সীমিত আকারে কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
মঞ্চ এলাকায় টানটান উত্তেজনা। রাত থেকেই অনেকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন, যেন কাছ থেকে নেতাকে একনজর দেখা যায়। ভোরের আলো ফুটতেই মঞ্চের সামনে মানুষের চাপ আরও বাড়তে থাকে। নেতাকর্মীদের চোখেমুখে ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষার ছাপ, সঙ্গে আনন্দ আর প্রত্যাশা।
মঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়া এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘এ দিনটার জন্য আমরা ১৭ বছর অপেক্ষা করেছি। নেতা দেশে ফিরছেন এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে। যতক্ষণ না উনি মঞ্চে আসছেন, ততক্ষণ আমরা এখানেই থাকব।’
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে গোটা দেশে বইছে উৎসবের আমেজ। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উচ্ছ্বাস আর আগ্রহ দেখা গেছে। তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেস ওয়ে। এখানেই তাকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা।
এদিকে মঞ্চ এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। একই সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে মঞ্চসংলগ্ন এলাকায়।
প্রায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার এই যাত্রায় তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ ছাড়া এ যাত্রায় সফরসঙ্গী হয়েছেন এছাড়া তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যক্তিগত সহকারী রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা।