।।বিকে রিপোর্ট।।
বেশ কদিন ধরেই তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা ঢেকে রয়েছে ঘন কুয়াশার চাদরে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রায় সব জেলাসহ মোট ২১ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের আবহাওয়া আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে নওগাঁ, দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য জেলাগুলো ১০- ১৩ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করছে তাপমাত্রা।
উত্তরের জেলাগুলোতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের দাপটে বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।
সকাল ৯টায় ডিমলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহ ধরে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট, বাজার, শপিংমলে লোকজনের উপস্থিতি খুব কম। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বের হয়ে বিপাকে পড়েছেন।
নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তীব্র শীতের কারণে জেলা উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসময়ে তাদের চলাচলে সচেতন হতে হবে।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর বলেন, আজকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহ ধরে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আগামী দিনে শীত ও কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে।