।।বিকে রিপোর্ট।।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন ছিল বলে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মঙ্গলবার ১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। পরে সাবেক সিইসিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।,
উল্লেখ্য, অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসিকে আসামি করে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকার অবৈধভাবে শপথ নেওয়ার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে। পরে শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ক্যাডাররা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের অপহরণ, গুম-খুন ও মামলা-হামলা দিয়ে নির্যাতন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কে এম নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল হুদার অধীনেই দিনের ভোট রাতে করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনা হয়েছিল।
মামলার পর একই দিন সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরের দিন ২৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৭ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ দ্বিতীয় দফায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।