।।বিকে রিপোর্ট।।
গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ঝিনাইদহ-৪ আসনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
শনিবার ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন রাশেদ খাঁন।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনে (কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ সদরের চারটি ইউনিয়ন) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত, আমি আপনাদের জানালাম।
সেই সঙ্গে আমি আপনাদের অনুরোধ করব, ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে, রাশেদ খাঁনের সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং সর্বশক্তি দিয়ে তাকে বিজয়ী করার জন্য।
এর আগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন রাশেদ খাঁন।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমি ও নুরুল হক নূর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লবে আমার ভূমিকা সাংবাদিকরা জানেন। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বিএনপি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রাম করছে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যাকে আমি নিজের আদর্শ মনে করি। বর্তমান বিএনপির নেতত্ব দিচ্ছেন জনাব তারেক রহমান। তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন ভালোবাসেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক।
‘আমি মনে করি, নতুন বাংলাদেশ গঠনে তার নেতত্ব দেশ এবং জনগনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি, সংস্কার, বিচার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আমি রাশেদ খান আজকে বিএনপিতে যোগদান করেছি এবং জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও জনগনের জন্য সংগ্রাম করে যাব ও কাজ করে যাব।
নুরের কাছে লেখা পদত্যাগপত্রে রাশেদ খাঁন লেখেন, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনার সাথে রাজপথের সহযোদ্ধা হিসেবে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে দীর্ঘসময় আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনীতি করেছি। এই পথচলায় আপনিসহ আপনার সহযোদ্ধারা কেউ আমার আচরণ ও বক্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সবার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে আপনার সম্মতি পাওয়ায় আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেখানেই থাকি আমাদের সম্পর্ক থাকবে মধুর ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে অটুট। আমি আপনার নিকট দোয়া ও ভালোবাসা চাই। ব্যক্তিগত কারণে আমি আজ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এবং আপনার ও দলের জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করছি। দলের সবার জন্য শুভেচ্ছা, দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।