।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ‘সংলাপ এবং ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার ৭ মে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লন্ডন থেকে এএফপি জানায়, পার্লামেন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে কিয়ার স্টারমার বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ব্রিটেনজুড়ে বসবাসকারী অনেকের জন্যই গভীর উদ্বেগের কারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উভয় দেশের পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করছি এবং সংলাপ, উত্তেজনা প্রশমন ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় উৎসাহিত করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জরুরি ভিত্তিতে উভয় দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করছি।
অন্যদিকে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ‘সংযম’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ডেভিড ল্যামিও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের পাশাপাশি দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে ভ্রমণ এবং কার্যত কাশ্মীর সীমান্ত হিসেবে পরিচিত লাইন অব কন্ট্রোলের ১৬ কিলোমিটারের ভেতরে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ভ্রমণও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ব্রিটিশ নাগরিকদের আমাদের ভ্রমণ পরামর্শের সঙ্গে আপডেট থাকা উচিত এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান কমনওয়েলথের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ৫৬টি দেশের এই জোটের বেশিরভাগ সদস্যই একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। যুক্তরাজ্যে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বিপুল সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন, যাদের অনেকেরই এই অঞ্চলের সঙ্গে গভীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।