শিরোনাম :
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আ. লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যমুনার সামনে বিক্ষোভ চলছে : বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক   মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকবে দায়িত্বে অবহেলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত  ইসরায়েলী ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত : ২৫টি হেরোপ ভূপাতিত করল পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়ল ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মানবিক করিডোর ইস্যুতে চীন জড়িত নয়, তিস্তা প্রকল্পের জন্য প্রস্তুত : চীনা রাষ্ট্রদূত ‘ভারতের হামলায় পাকিস্তানে নিহত শতাধিক’ দাবি রাজনাথ সিংয়ের গভীর রাতে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

সম্পাদকের কলাম : পুলিশের তারবার্তা দেশকে সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার সুস্পস্ট লক্ষন

  • আপলোড টাইম : ০৯:২১ পিএম, সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৪৪ Time View
ছবি: সংগৃহিত, প্রতীকি

।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।

পুলিশের একটি জরুরী তারবার্তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে এবং এই ধরনের তারবার্তা দেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে এবং এমন কি পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলেও আর কখনো দেখা যায়নি- যে তারবার্তায় দেশে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনী সত্রিুয় থাকা সত্বেও পুলিশকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি পুলিশের একটি সুত্র থেকে সম্প্রতি পাওয়া তথ্য এবং এই তথ্য ইতমধ্যেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে।

প্রসঙ্গ: তারবার্তা:

নিছক গোযেন্দা সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রতিটি থানার ওসিদের কাছে অতি সম্প্রতি পাঠানো এই জরুরী তারবার্তায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের ঢাকা অভিমুখী রওয়ানা হওয়ার বা ঢাকা জড়ো হওয়ার এ কর্মসুচী ঠেকানোর জন্যে বলা হয়েছে:” সরকার গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পেরেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে গোপনে তৎপরতা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সংগঠনের প্রতিটি ইউনিট থেকে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ নেতাকর্মীকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় জড়ো হতে নির্দেশ দিয়েছে দলটি”।

তারবার্তায় এ কর্মসুচী মোকাবেলায় প্রদত্ত আটটি দিক নের্দেশনার মধ্যে রয়েছে :

(১). সকলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা
(২)যাদের বিরুদ্ধে মামলা -মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা
(৩) গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা
( ৪ ). নৌ-ঘাট. রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের উপর নজরদারি করা
( ৫). স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের (বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি) সহযোগিতা নিয়ে ঢাকামুখী কার্যক্রম প্রতিহত করা
( ৬). সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাইট পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা,
(৭). অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া
( ৮). ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস/প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডগুলোতে নজরদারি করা।

এসব নির্দেশনা প্রতিপালনের অগ্রগতিও জানাতে বলা হয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে। এজন্য তৈরি করে দেওয়া হয়েছে একটি ছক। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার গ্রেপ্তারের সংখ্যা, চেকপোস্টের সংখ্যা এবং তল্লাশির মাধ্যমে আটককৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সংখ্যা। এই ছকটি পূরণ করে সকাল ৬টার মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক আলোচনা

পাকিস্তানের ২৩ বছরে এবং বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে সব সরকারী দলই কম বেশী বিরোধী দল/দলগুলোর কাছে ফ্যাসিস্ট ও স্বেরাচারী ছিল এবং বিরোধী দল/দলগুলোকে সরকার তথা আইন শৃংখলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ নানাভাবে মোকবেলা করেছে/করছে এবং এটি একটি চলমান স্বাভাবিক প্রত্রিুয়ায় পরিনত হয়েছে।এর পাশাপাশি সরকারী দল ও এই দলের ছাত্র বা অঙ্গসঙগঠনগুলোও সত্রিুয় ছিল পরিস্হিতি মোকাবেলায়-যদিও এটা বেআইনী এবং গনতান্ত্রিক রীতি নীতি বিরোধী ছিল।

কিন্ত্র, একমাত্র ব্যতিত্রুম হল এই সরকার-যে সরকার নিজেদেরকে অরাজনৈতিক ও দল নিরপেক্ষ সরকার বলে অনবরত দাবী করছে এবং বলছে-তাদের কোন ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিস্টতা বা রাজনৈতিক খায়েশ নেই এবং তারা দেশে গনতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

কিন্তু, পুলিশ সদর দফতেরর এই জরূরী তারবার্তা কি বলে?

পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলের কোন ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচারী সরকার বা পুলিশ কি কখনো একবারের জন্যেও মুসলিম লীগ সরকারকে বাঁচানোর জন্যে সরকারীভাবে বা পুলিশকে সরকারের দোসর বা অন্যান্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী/নেজামে্ ইসলামী/পিডিপি/ন্যাপের সহযোগিতা নেয়ার কথা বলেছে এবং লিখিতভাবে?ঐ দিনগুলোতে কি এইভাবে রাজনৈতিক সংঘাতকে উসকিয়ে দেয়া হয়েছিল কখনো?

বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসেওতো বঙ্গবন্ধু-,জিয়া -এরশাদ- খালেদা জিয়া- শেখ হাসিনার সরকারও ছিল। তাদের কেউ কি কোনদিন পুলিশশকে বলেছে পরিস্হিতি মোকাবেলায় সরকারের সহযোগী বা দোসর কোন রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নিতে?শেখ হাসিনার সরকারও কি একবারের জন্যেও পুলিশকে আন্দোলন ঠেকাতে জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দলের সহযোগিতা নিতে বলেছে বা অন্য কোন দলকে আন্দোলন দমাতে পুলিশকে সহযোগিতা করতে এইভাবে লিখিত কোন দিক নির্দেশনা দিয়েছে?

এই তারবার্তাতো দেশকে সরাসরি সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার সুস্পস্ট লক্ষন। টিকতে না পারার আশংকা থেকেই এই ধরনের অবস্হার সুস্টি হয়-এটা কে না বুঝ?কে না জানে?বড় হয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ; ড.ইউনুসের সরকার আসলেই দেশকে কোথায নিয়ে যাচ্ছেে?আমরা মনে করি-যা হওয়া উচিত তা যেন দ্রুত হয়ে যায়-অন্যথা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে এবং এটা অবধারিত।।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech