।।বিকে রিপোর্ট।।
সংবিধান সংশোধন করে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি চালু, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ‘গণহত্যা’র বিচার এবং রাজনৈতিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ সাত দফা দাবিতে আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার ১৯ জুলাই দুপুর ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। তবে শুক্রবার ১৮ জুলাই সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। আজ ভোর থেকে সেখানে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাচ্ছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশে কোনো ‘প্রধান অতিথি’ রাখা হয়নি। তাদের দাবি, জামায়াত আয়োজনের উদ্যোক্তা হলেও এটি সব দল-মত-ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত একটি সমাবেশ—এ কারণেই স্টেজে নির্দিষ্ট কোনো অতিথিকে রাখা হয়নি।
শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি। অনেকেই আগের রাতেই সমাবেশস্থলে এসে অবস্থান নেন। সন্ধ্যায় অনেককে মাঠেই মাগরিবের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাখালী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কাকরাইল ও মৎস্য ভবন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। অনেকের হাতে দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ সম্বলিত পতাকা ও ব্যানার। অনেকে সাদা গেঞ্জি পরে এসেছেন, যেখানে লেখা ছিল—‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, জামায়াতের পক্ষে হোক’ এবং ‘দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিন’।
ঢাকার বাইরে থেকে আগত একদল কর্মী বলেন, “সমাবেশ শনিবার সকাল থেকেই শুরু হবে বলে আমরা যানজট ও সময় বাঁচাতে একদিন আগেই চলে এসেছি।”
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে তাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। মাঠ ব্যবস্থাপনা, প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ, জরুরি সেবা ও অংশগ্রহণকারীদের সহায়তার জন্য নিয়োজিত থাকবে ছয় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জামায়াতের নেতারা ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির দাবি, আইনগত কাঠামোর মধ্যেই তারা সমাবেশ করছে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখাই তাদের অগ্রাধিকার।