।।বিকে রিপোর্ট।।
আওয়ামীলগের সাবেক সংসদ সদস্য (কুষ্টিয়া-৩ আসন) মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ের কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশও পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার ১৪ জুলাই রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, মাহবুবুল আলম হানিফ ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ২৯ হাজার ৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। বিভিন্ন সময় ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত মোট ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি। তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলম যৌথভাবে পারস্পরিক যোগসাজশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন।
পাশাপাশি ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মোট ৩৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধেও আরেকটি মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে হানিফ দম্পতির তিন সন্তান-ফাহিম আফসার আলম, ফারহান সাদিক আলম এবং তানিশা আলমের বিরুদ্ধে অর্জিত সম্পদের উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারির সুপারিশ করেছে দুদক
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ হানিফের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। আরেকটি মামলায় হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়াকে আসামি করে বাদী হন উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা।
অপর মামলায় ফৌজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশে তিনি ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার বেশি লেনদেনও সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক। দুদক জানিয়েছে, মামলার পাশাপাশি অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।