।।বিকে রিপোর্ট।।
শেয়ারবাজারে একদিকে টানা দরপতন, অন্যদিকে লেনদেন খরায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরো ঘনীভূত হয়েছে। দরপতনের বৃত্তে বন্দি থাকা শেয়ারবাজার তীব্র তারল্য সংকটের মুখেও পড়েছে।
মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩০০ কোটি টাকারও কম। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৯১ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাজারের স্থবিরতার বহিঃপ্রকাশ। বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের পাশাপাশি সব মূল্যসূচকও নেমে গেছে। উল্লেখ্য, এরআগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে ৩০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ২৮২ কোটি টাকা।
একই ধারা দেখা গেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), যদিও সেখানে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে।
এদিকে লেনদেন কমার পাশাপাশি সূচকেরও পতন ঘটেছে। আগের দিনের সূচক থেকে ১৭ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে। ডিএসইক্সের পাশাপাশি ডিএসই শরিয়াহ সূচক ও ডিএসই-৩০ সূচকেরও পতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ। একদিনের ব্যবধানে তা কমেছে ১৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের ঘোষণার পরপরই বাজারে লেনদেনে বড় ধরনের পতন হলো।
এদিকে টানা পতন আর তারল্য সংকটে দেশের শেয়ারবাজার খুবই নাজুক অবস্থায় পড়েছে। আর এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতাকেই বড় কারণ হিসাবে মনে করছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।
শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন হওয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যর্থতার দায়ে বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে তারা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।