।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস ৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান।
শনিবার ১০ মে অপারেশন ‘বুনিয়ান মারসুস’ নামের এই হামলায় ভারত শাসিত পাঞ্জাবের জালান্দার জেলার আদমপুরে অবস্থিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করে তারা।
শনিবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর বদলা হিসেবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ভারতে হামলার বিষয়ে একের পর এক দাবি করে যাচ্ছে। সবশেষ তারা ভারতের এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে।
এই উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত কিনেছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান সাইবার হামলা করে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার দাবি করেছে।
তবে বিবিসি এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ভারতের দিক থেকেও এসব বিষয়ে কোনও মন্তব্য আসেনি।
বিবিসি জানায়, ভারতের ভেতর থেকে এখনও বিজেপির ওয়েবসাইট সচল রয়েছে এবং তাতে প্রবেশ করা যাচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভারতের হামলার দাবি করার পর, পাকিস্তানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
অন্যদিকে ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি বিমানবন্দর ১৫ মে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার ৮ মে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের ‘বেশ কয়েকটি স্থানে’ বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং ব্যবস্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত।
তবে ভারত সরকারের বিবৃতিতে হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইলের তৈরি হ্যারপ কামিকাজে ড্রোন দিয়ে চীনের তৈরি পাকিস্তানের এইচকিউ ১৬ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।