।।বিকে ডেস্ক রিপোর্ট।।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সাংবিধানিক সংস্কারকে ঘিরে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ। লন্ডনে
বুধবার ১১ জুন এক বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে।
বোচওয়ে বলেন, বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কমনওয়েলথের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, বর্তমানে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বছরে ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে, যা আগামীতে ১ ট্রিলিয়নে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করে তিনি জানান, আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করব। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংগ্রামে সহায়তা করাও সংগঠনের অগ্রাধিকারভিত্তিক লক্ষ্য।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথের অনেক সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর মধ্যে অনেক দেশ আকারে অত্যন্ত ছোট। আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করার চেষ্টা করব, তিনি বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ক্রীড়াকে সামাজিক ও উদ্যোক্তা চর্চার অংশ হিসেবে তুলে ধরেন এবং তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ক্রীড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি ভালো মাধ্যম, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি মাসে তারা ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, তারা কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনাও করছেন, একটি ক্ষেত্র যা প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি-বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।সূত্র- বাসস।