শিরোনাম :
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কারও হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমনওয়েলথ মহাসচিবের চার দিনের বাংলাদেশ সফর  জনগণ মোটেও আতঙ্কিত না, এভরিথিং ইজ ভেরি নরমাল: ডিএমপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব-আমীর খসরু জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন প্রস্তাব গৃহীত গণতান্ত্রিক মহাসড়কে উঠল বাংলাদেশ: অ্যাটর্নি জেনারেল নয়াদিল্লিতে ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে অজিত দোভালের বৈঠক অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা বৈষম্যের অভিযোগে রাঙামাটিতে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল

গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল: ইউনিসেফ

  • আপলোড টাইম : ১০:২৩ এএম, বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৭০ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
অব্যাহত বোমা হামলা ও মানবিক সহায়তায় বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল। এমন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা।

মঙ্গলবার ৫ আগস্ট এক্স-এ দেওয়া পোস্টে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল-ইউনিসেফ জানিয়েছে, এমন মৃত্যুর কারণ, বোমা বর্ষণ, অপুষ্টি, অনাহার ও জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া।

ইউনিসেফ বলছে, প্রতিদিন গাজায় যে পরিমাণ শিশু মারা যাচ্ছে তা একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গড়ে উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থী সংখ্যার সমান। বর্তমানে উপত্যকাটির শিশুদের জন্য জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও নিরাপত্তা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি দরকার।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি এক্স পোস্টে আরও লিখেছে, গাজায় গণহত্যা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল ১৮ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে। যা প্রতি ঘণ্টায় একজনকে হত্যা করার সমান।

মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৯৩৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ নিহত হয়েছেন ৮ জন। আর ইসরায়েল মানবিক সহায়তা বন্ধের পর থেকে ৯৪ শিশুসহ অনাহারে মারা গেছে ১৮৮ জন।

‘শিশুদের জন্য কবরস্থান’ ইসরায়েলি আগ্রাসন গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অবর্ণনীয় প্রভাব ফেলছে। বাস্তুচ্যুত একটি পরিবারের ১০ বছর বয়সী শিশু লানার চুল ও ত্বকের অনেকাংশ সাদাটে হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোমা হামলার কারণে লানা এতটাই মানসিক আঘাত পেয়েছে যে, এখন সে ‘ট্রমা-ইনডিউসড ডিপিগমেন্টেশন’ এ ভুগছে। এ ধরনের ট্রমার কারণে ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমে যায়। এতে ত্বক ধীরে ধীরে সাদাটে রং ধারণ করে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের আঞ্চলিক পরিচালক আহমাদ আলহেনদাওয়ি বলেন, গাজা এখন শিশুদের জন্য একটি কবরস্থান হয়ে উঠছে। শিশুরা স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা হারাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম ভাবতে শুরু করেছে, পৃথিবীর অন্য এলাকার মানুষেরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech