Breaking News:


শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে কারফিউ চলমান থাকবে : কাল শিথিল থাকবে তিন ঘণ্টা – স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করছে, তারা কারা ? তারা সাহস পাচ্ছে কোথায়? আ.লীগ একটা সন্ত্রাসী সংগঠন : নাহিদ ইসলাম গোপালগঞ্জে আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী-আইএসপিআর গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে হামলা–সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ১৪ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরে ইসরাইলের হামলা : চেয়েচেয়ে দেখছেন ‘দুর্বল’ প্রেসিডেন্ট সারা দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৩ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

গোপালগঞ্জে আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী-আইএসপিআর

  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১৪ Time View
ছবি: আইএসপিআর

।।বিকে ডেস্ক রিপোর্ট।।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলায় সৃষ্ট সহিংসতা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় বলে জানাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আহ্বান করা জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকার একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা গতকাল ১৬ জুলাই সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এতে বলা হয়, পরে রাজনৈতিক সংগঠনের সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সঙ্গে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বারংবার ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে উল্টো তারা সেনাবাহিনীর ওপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা করে।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিদের খুলনায় স্থানান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং প্রশাসন কর্তৃক জারি করা কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে চলমান এই রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায়, গোপালগঞ্জ জেলার জনসাধারণ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে নিজেদের নিবৃত্ত রেখে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছেন। গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech