শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্র এমন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না যেখানে তার স্বার্থ নেই: জেডি ভ্যান্স নানান নাটকীয়তার পর নারায়ণগঞ্জে আইভি গ্রেফতার : হত্যা মামলায় পাঠানো হলো কারাগারে ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যহত: নিহত আরও ১০৬ ফিলিস্তিনি দেশের মুদ্রাস্ফীতি কমেছে ৬ শতাংশ: গভর্নর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা আ. লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যমুনার সামনে বিক্ষোভ চলছে : বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক   মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকবে দায়িত্বে অবহেলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত  ইসরায়েলী ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত : ২৫টি হেরোপ ভূপাতিত করল পাকিস্তান

ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন আর নেই

  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬ পিএম, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৯ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি সংস্কৃতিকজন, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুন আর নেই।

মঙ্গলবার ২৫ মার্চ বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সন্‌জীদা খাতুন ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া এবং কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও একই অসুস্থতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানান লাইসা আহমদ লিসা।

সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে ছায়ানটের ফেসবুক পেজ থেকে। শোকবার্তায় বলা হয়েছে- সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষাবিদ ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন-এর প্রয়াণে ছায়ানট গভীর শোক জ্ঞাপন করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী।

সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’ গড়ে তোলার অনন্য কারিগর তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় শুদ্ধ সংগীতের চর্চার পাশাপাশি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় ছিলেন সন্‌জীদা খাতুন, তখন সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে।  

সন্‌জীদা খাতুনকে জীবনের প্রায় শুরু থেকেই দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকায়। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন। শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁর প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তাঁর কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লিগীতি।

পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্‌জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সন্‌জীদা খাতুন বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।  

সন্‌জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ জানিয়েছেন, প্রয়াত সন্‌জীদা খাতুনের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন আগামীকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

সন্‌জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ছায়ানট, উদীচী, চারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech