।।বিকে রিপোর্ট।।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নারীদের অবদান স্মরণে আয়োজিত এক ড্রোন শোতে ফুটে উঠেছে সে সময়ের গুরুত্বপূর্ণ নানা ঘটনা। ‘জুলাই উইমেনস ডে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাতের আকাশ প্রত্যক্ষ করল আলোর বিপ্লব।
সোমবার ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ব্যতিক্রমী এক ড্রোন শো। মধ্যরাতে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উপলক্ষ্যে আলোকছায়ার মধ্যে জ্বলজ্বল করে উঠল সাহস, সংগ্রাম আর স্মৃতির মুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয় এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের। শতাধিক ড্রোনের আলো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হলো নারী অবদানের নানা প্রতীক ও বার্তা। ফুটিয়ে তুললো চব্বিশের জুলাইয়ের সাহসী, বিপ্লবী অবদান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিমোহিত দৃষ্টিতে তা দেখেন।

এছাড়াও ঢাবির রাজু ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরো টিএসসি চত্বর থেকে শহীদ মিনার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় ‘জুলাই উইমেন্স ডে’।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, এই শো-এর উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে সাহসী নারীদের ভূমিকা স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো। ওই বছর ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে প্রথম বিক্ষোভের ঝাণ্ডা তুলে ধরেন। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল একটি ইতিহাস-গঠনের অধ্যায়।
ড্রোন শোতে অভ্যুত্থানকালীন সময়ের নারীদের আন্দোলনের বিভিন্ন প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীতে সেই সময়কার জনপ্রিয় স্লোগান, ছবি এবং ঘটনাবলি উপস্থাপন করা হয়।

শোতে শেখ হাসিনার আলোচিত বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য—‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’—সহ ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ প্রভৃতি স্লোগান প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ, বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদ এবং ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত তন্বীর প্রতিকৃতি দেখানো হয়।
শোতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনার প্রতিচ্ছবিও তুলে ধরা হয়।