।।বিকে রিপোর্ট।।
অবশেষে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়নের পদ্ধতিসংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সোমবার ২৭ অক্টোবর বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠকে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়।
সভাসূত্রে জানা গেছে, সুপারিশে সনদের আইনি ভিত্তির জন্য সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই আদেশের ওপর গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ পাস করলে সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে আগামী সংসদ।
এ জন্য সংসদ সদস্যদের নিয়ে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠিত হবে। বাস্তবায়ন কাজ শেষে ওই পরিষদ বিলুপ্ত হবে। তবে সংসদ চলমান থাকবে।
এ ছাড়া সনদে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ও গণভোটের সময়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আজ দুপুরে সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার পাশাপাশি আইনি বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয়ে একাধিক বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকার ওই সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর থেকে এর বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে কাজ করে ঐকমত্য কমিশন। গতকালও জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশন কার্যালয়ে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা। সনদের নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি ভুল-ত্রুটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এর পর বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সনদ ও সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমাপনী বৈঠক হয় কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে।
পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই সব সুপারিশ তুলে ধরা হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।