।।বিকে রিপোর্ট।।
আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার ২১ মে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারী আবহাওয়া পূর্বাভাস ওযেবসাইট আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ দেশের কৃষকদের কল্যাণে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস দিয়েছেন।
জুন মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চলমান বজ্র-বৃষ্টি ২৩ শে মে থেকে কমা শুরু করবে ও ২৪ শে মে দেশের দেশের পশ্চিম দিকের বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসের ২৫ (রবিবার), ২৬ (সোমবার) ও ২৭ (মঙ্গলবার) তারিখে এবং জুন মাসের ১ ও ২ তারিখে।
কৃষক ভাই দের পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে এই ৫ দিনে আপনাদের জমিতে থাকা পাকা ধান কেটে মাড়াই করার জন্য।
আগামী ২৮ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘুর্নিঝড় মন্থা (Mon-Tha) এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। ঘুর্নিঝড় মন্থা (Mon-Tha) এর প্রভাবে আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ শে মে পুরো দেশের উপর মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে।
জুন মাসের ১ তারিখ থেকে বর্ষার মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে প্রবেশ করা শুরু করবে। জুন মাসের ১ ও ২ তারিখে দেশ-ব্যাপী বৃষ্টির পরিমান কিছুটা কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে জুন মাসের ৩ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত পুরো দেশের উপরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে। সেই সাথে রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোন-কোন জেলার উপরে অগ্রিম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এই বছর মে মাস শেষে বিভিন্ন জেলায় যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে তা বর্ষা কালের বৃষ্টির পরিমাণকে অতিক্রম করে যেতে পারে। ফলে যতটুকু ভালো আবহাওয়া পাওয়া যায় সেই সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশের কৃষকদের। বিশেষ করে যে ধান গুলো ইতিমধ্যেই পেকে গেছে ও জুন মাসের ১০ তারিখের পূর্বেই কাটা ও মাড়াই করতে হবে।