।।বিকে রিপোর্ট।।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখা।
বুধবার ২৪ এপ্রিল দলটির সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
তারা জানিয়েছে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নারী সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশে এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, যাতে সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে, যা পবিত্র কোরআন ও হাদিসেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকারের সমান অধিকারের সুপারিশ সব ধর্মের মতামত ও মুল্যবোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যক্তিগতভাবে না মানতে পারে, কিন্তু তার অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার।
মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, কমিশনে যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা সমাজের সব শ্রেণির নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিশেষ করে এই কমিশনে ইসলামের জ্ঞানসম্পন্ন নারী প্রতিনিধি দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, এই কমিশনের রিপোর্ট কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতিতে কমিশনের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে বলা হয়, আমরা এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি এবং ইসলামের পূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন নারীদের কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনর্লিখনের আহ্বান জানাচ্ছি।