Breaking News:


ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আইএলও

  • আপলোড টাইম : ১১:২৩ এএম, মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ১৭ Time View
ছবি:সংগৃহিত

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
দখলদার ইসরায়েলী আগ্রাসনের ৫ দশক পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সংগ্রামের পথে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটল।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও শ্রম অধিকার বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ফিলিস্তিনকে ‘জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন’ থেকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সোমবার ২ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে ‘অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আইএলও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। এর আগে চলতি বছরের ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর একই মাসে ইউনেস্কো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একই স্বীকৃতি প্রদান করে। আইএলও এই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় সংস্থা হিসেবে যুক্ত হলো।

জাতিসংঘের মূল সংস্থা সাধারণ পরিষদ ২০২৪ সালে ১০ মে ফিলিস্তিনকে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তারপর একই মাসে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের অপর দুই সংস্থা ইউনেস্কো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এবার তৃতীয় সংস্থা হিসেবে ফিলিস্তিনকে এ স্বীকৃতি দিলো আইএলও।

কোনো দেশ বা অঞ্চল যদি জাতিসংঘ এবং তার কোনো অঙ্গসংস্থায় ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়, সেক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল সংশ্লিষ্ট সংস্থার বৈঠক, আলোচনা এবং নিয়মিত সেশনে উপস্থিত থাকতে পারবে, আলোচনায় অংশও নিতে পারবে কিন্তু কোনো প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে না। এটি মূলত পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদের পূর্বের অবস্থা।

দীর্ঘ ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে আইএলও-তে ফিলিস্তিনের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকার পর এবারই প্রথম এই পর্যায়ে পদোন্নতি পাওয়া গেল। এই স্বীকৃতির ফলে ফিলিস্তিন আইএলও’র বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবে, আলোচনায় অংশ নিতে পারবে এবং নিজস্ব প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে, যদিও পূর্ণ সদস্যের মতো ভোটাধিকার তাদের থাকবে না।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ক্রাইশি বলেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্ট যখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেছে, তখন আইএলও’র এই সিদ্ধান্ত সেই প্রতিক্রিয়ার একটি জোরালো ও স্পষ্ট জবাব।

তিনি জানান, সম্মেলনে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে শুধু হাঙ্গেরি ব্যতিক্রম—একমাত্র হাঙ্গেরি ছাড়া অন্য সব রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট

ইব্রাহিম ক্রাইশি আরও বলেন, হাঙ্গেরির অবস্থান আমাদের বিস্মিত করেছে, কারণ ১৯৮৮ সালেই তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তখন বহু দেশ সে স্বীকৃতি দেয়নি।

আইএলও’র এই পদক্ষেপ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিই নয়, বরং ইসরায়েলি দমন-পীড়নের মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনিদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ। এই স্বীকৃতি ভবিষ্যতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থায়ও ফিলিস্তিনের সদস্যপদ পাওয়ার পথ সুগম করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech