।।বিকে ডেস্ক।।
আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ শুধুমাত্র/কেবলমাত্র/একমাত্র ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ভুখন্ডে (কথিত পুর্ব পাকিস্তানে) মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের এই দেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘটিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ও ডমেস্টিক অপরাধসমুহের বিচারের জন্যেই প্রনীত হয়েছে-তা ইমেজের বিলটির কপি থেকে ১০০% নিভূল প্রমানীত।
অতএব, এই আইনের অধীনে তৎকালীন (মুক্তযৃদ্ধকালীন) অপরাধ ছাড়া অন্যকোন অপরাধের বিচার বা বিচারের জন্যে আনীত বা আনীতব্য সংশোধনী সম্পুর্ন বেআইনী এবং মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে-এটাও একেবারেই পরিস্কার।
এই আইনের অধীনে তৎকালীন অপরাধ ছাড়া আর কোন অপরাধ ও অপরাধীকে যুক্ত করা যাবে না-তাও সুস্পস্ট।
তাই এটা পরিস্কার- ৭১ পরবর্তী সেনাসদস্য হোক আর রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক-কারো বিচারই এই আইনে সম্ভব নয়।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন এবং এই বিষয়ে লিখতে অনুরোধ করায় সবার অবগতির জন্যে এই লেখা এবং এটি একটি একাডেমিক আইটেম।
আমরা সবাই অপরাধীর বিচার চাই-কিন্তু,কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন বিচারের নামে রাস্ট্র বা সরকার কর্তৃক অবিচারের সন্মৃখীন না হন এবং রাস্ট্র যাতে ভয়াবহ বিপর্যয়কর অবস্হায় পড়ে না যায়-তা দেখা আমাদের সবার সাংবিধানিক নাগরিক দায়িত্ব।
লেখক- বাঙ্গীরখবরডটকম-র
সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক