শিরোনাম :
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা, ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ছাত্র-জনতা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না : মির্জা ফখরুল জাতীয় সনদ নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবে : আলী রীয়াজ সিলেট সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলে কারফিউ জারি, রাতের চলাচল নিষিদ্ধ রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস পালন : কুচকাওয়াজে পুতিনের পাশে সি   পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না জনগণ: তারেক রহমান ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের ভারতে তথ্য সেন্সরশিপ: ইউটিউবে ৪ বাংলাদেশি চ্যানেল সহ ভারতীয় অনলাইন এবং এক্সে ৮ হাজার একাউন্ট বন্ধ

ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিস্তার হাঁটু পানিতে নেমে প্লেকার্ড প্রদর্শন

  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৪ পিএম, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৪ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিস্তা নদীর হাঁটু পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। পানির নায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ অভিনব প্রতিবাদ জানায়।

মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক ও রেল ব্রীজের নিচে হাঁটু পানিতে নেমে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা পাড়ের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তিস্তার পানিতে নেমে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখোরিত।

এ সময় তিস্তা নদীর পানিতে নেমে তরুণরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘তিস্তা আমার মা, ভারতের হতে দিব না’; ‘জিয়ার মতো কোদাল ধরো, তিস্তা নদী খনন করো’।

তিস্তা পাড়ের সব এলাকা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে তিস্তার পানিতে নেমে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখরিত। এ সময় তিস্তা নদীর পানিতে নেমে তরুণরা স্লোগান দেয়, ‘তিস্তা আমার মা, ভারতের হতে দিব না’, ‘জিয়ার মতো কোদাল ধরো, তিস্তা নদী খনন করো’।

পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানাতে এসে তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দা বৃদ্ধ আজিবর রহমান বলেন, পানিতে নেমেছি প্রতিবাদ জানাতে। কারণ আমার জমিতে ফসল হচ্ছে না পানির অভাবে। আমরা আমাদের সেই পূর্বের তিস্তা দেখতে চাই, যেখানে অনবরত পানির স্রোত থাকবে। আমরা মাছ ধরব। যতদিন লাগে আমরা আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এর আগে সকালে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার ১১টি পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে নদী পাড়ে এসে শেষ হয়। পদযাত্রা শেষ হওয়ার পর থেকেই পানিতে নেমে প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি চলমান আছে।

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়। আজ তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষ “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” কর্মসূচিতে অংশ নেন। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’- এই স্লোগানো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পানির ন্যায্য হিস্যা ও নদী শাসনের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার লাগাতার কর্মসূচির ২য় দিনে “জাগো বাহে তিস্তা বাচাঁই” আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি  অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে তিস্তার হাঁটু পানিতে নেমে প্লেকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech