শিরোনাম :
‘নো হাংকি পাংকি’ গণভোট লাগবেই, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা হবে চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী গুলির ঘটনায় মির্জা ফখরুলের ক্ষোভ ও নিন্দা যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ দলের পদযাত্রা: মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড মামদানির জয়ে নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দিলো ইসি : ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের এনসিপিতে স্বাগত জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডব : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৪ পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু : প্রশাসক নিয়োগ বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে : দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার

  • আপলোড টাইম : ১০:০৫ পিএম, শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ২২৩ Time View
ছবি: ফাইল ফটো

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা সেখানে অবস্থান করছেন। ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি ইঙ্গিত করেছেন, ভারত সরকারের মদদেই বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা কলকাতায় রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।  

বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই নিউ টাউনের সরকারি এক কর্মসূচিতে মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়েন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।

কারও নাম উল্লেখ না করে মমতা বলেন, আমাদের অতিথি তো কয়েকজনকে (শেখ হাসিনাসহ অন্যরা) রেখেছে ভারত সরকার। আমি কি না করেছি? কারণ, রাজনৈতিক কারণ আছে, ভারত সরকারের অন্য কারণ আছে। পাশের দেশ বিপদে পড়েছে। কই, আমরা তো কখনো বলি না। তাহলে আপনারা কেন বলবেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল।

ওড়িশাসহ বিভিন্ন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি ট্যাগ’ দিয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে মমতা ওই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একটা নোটিফিকেশন (বিজ্ঞপ্তি) করে বলছে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাদের ডিপোর্ট করে দাও। কেন? ওরা জানে না, বাংলা ভাষায় কথা বলা লোকের সংখ্যা সারা এশিয়ায় দ্বিতীয়। আর সারা পৃথিবীতে পঞ্চম।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের যে কোনো নাগরিক দেশের যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন; কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি’ বলে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশি বলেই নয়, অন্যান্য রাজ্যে বাংলাভাষীদের ‘রোহিঙ্গা’ বলেও ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘যাকেই পাচ্ছে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, রাজনীতি করতে গেলে আগে মনকে ঠিক করতে হবে। মনে রাখবেন রাজনৈতিক লোকেরাই সরকার চালায়। যদি তারা রাজনৈতিকভাবে সঠিক না হন, তারা ভালো প্রশাসক হতে পারেন না।

সরকার চালাতে গেলে মাথা চালাতে হবে। মগজে মরুভূমি হলে হবে না, মগজটাকে খুলে দিতে হবে খোলা হওয়ায়, মুক্ত আকাশে, মুক্ত বাতাসে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার তো আমাদের অতিথি হিসেবে কয়েকজনকে রেখেছে, আমি কি না বলেছি? আশ্রয়ের কারণ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ বিপদে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ’

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, বাংলাদেশিদের নিয়ে যদি এতো সমস্যা হয়, তাহলে কিছু বাংলাদেশিকে ভারত সরকার অতিথি করে রেখেছে কেন? তাদের রাখা নিয়ে এখনও অবদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনো আপত্তি করেনি।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech