প্রসঙ্গ:ইসলামী ব্যাংক:
বরগীরা এসে লুটে-পুটে খেয়ে যাবেে
বিএনপি কথাও বলতে পারবে না?
-ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত।।
বর্গীরা এসে একটি ব্যাংক লুটে পুটে খেয়ে যাবে-আর ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অনুমাত দাতা বিএনপি ঐ ব্যাংকটি নিয়ে কোন কথাও বলতে পারবেনা?-এটা কি করে হয়?এটাওতো এক ধরনের বৈষম্য।
আমি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির কথাই বলছি।সম্প্রতি ব্যাংকটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জামায়াতের সাথে মহব্বতের বিরোধ আমরা লক্ষ্য করছি।ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ১৯৯৫ সালের এপ্রিল/মে থেকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামি ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৯৮৩ সালের ১৩ই মার্চ কোম্পানি আইন, ১৯১৩-এর অধীনে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৯৫ সালের এপ্রিল/ মে পরযন্ত বেআইনীভাবে বাংলাদেশে ” ইসলামী ব্যাংকিং” কার্ত্রুম পরিচালনা করে আসছিল বা ততদিন বাংলাদেশে িইসলামী ব্যাকিংয়ের কোন আইনগত সুযোগ ছিলনা।অরথাত.৯৫ সালের এপ্রিল /মে মাসের আগ পরযন্ত দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কোন আইনগত সুযোগ ছিলনা।এটি অনুমোদন নিয়েছে কোম্পানী আইানের অধীনে-যে আইনে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কোন সুযোগ রাখা হয়নি।
১৯৯১ সালে বেগম জিয়ার প্রথম সরকার সংসদের মাধ্যমে কোম্পনী আইন বাতিল করে সংসদে ব্যাংক কোম্পানী আইন-১৯৯১ প্রনয়ন/পাশ করেন-যে আইনটির খসড়া তৈরী করে গিয়েছিল এরশাদ সরকার। এটি একটি পুর্নাঙ্গ আইন।
কিন্তু.এই আইনেও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কোন সুযোগ রাখা হয়নি।
অন্যদিকে, একটি দেশের রাস্ট্রীয় কাঠামোর অধীনে একশভাগ দলীয় লোকজনের দ্বারা পরিচালিত এই ব্যাংকটির নানা বিষয় নিয়ে নানাকথা উচ্চারিক হতে থাকলে উদ্যোক্তাদের টনক নড়ে।ব্যংকটিতে তখনো ভিন্নধর্রমের অনুসারী ও নারীদের নিয়োগ দেয়া হত না।
১৯৯৫ সালে ব্যাংকটির উদ্যোক্তারা ভূল বুজতে পেরে ব্যাংক কোম্পানী আইনে সংশোধণী এনে “ইসলামী বিধান “সংযোজনের ইদ্যোগ গহন করেন এবং আইনের খসড়া তৈরী করে তা সংসদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্যে সংসদ সচিবালয়ে অরথ মন্ত্রনালয় নৌটশ পাঠায়। আমি তখন একটি শীরষ বাংলা দৈনিক পত্রিকার ডাকসেটে সংসদ রিপোটার হিসাবে পরিচিত। এরই মধ্যে একদিন জনাব শাহ আব্দুল হান্নান ( প্রাক্তন সচিব)আমাকে বিষয়টি অবহিত করে আমার সহযোগিতা চান।সংসদ সচিবালয়ে বেশ কিছুদিন পড়ে থাকা নোটিশটির ব্যাপারে আমি খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি-অরথ মন্ত্রী সাইফুর রহমান ও স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী দেশে সুদ ও সুদবিহীন-দুই ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্হার বিরোধী। তাই বিলটি ( আইনের খসড়া) সংসদে আনতে তারা রাজী নন।এরপর শাহ আব্দুল হান্নান আবার আমার কাছে জানতে চান-এই ব্যাপারে আমার কোন কিছু করার আছে কিনা এবং কি করা যায়।তখন ব্যাংকটির উদ্যেক্তা রাজনৈতিক দল ও বিএনপি সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল ( স্মৃতির পাতা থেকে)।পরে সাইফুর রহমানের অনুপস্হিতিতে( সম্ভবত বিদেশ থাকা অবস্হায়) ও অরথ প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবনায় আইনটি সংসদের বৈঠকে উত্থাপিত ও পাশ হয়।যতদুর মনে পড়ছে তখন সসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা বেগম খালেদা জিয়াও উপস্হিত ছিলেন্। তখন বা তার আগে স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলীর নামে” কাদিয়ানী” অপবাদ দিয়ে একটি লিফলেট কে বা কারা ছড়িয়েছিল। স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী ঐ লিফলেটের একটি কপি আমাকে দেখিয়ে কস্টের কথা জানিয়েছিলেন।আমি এখনো জানিনা কারা ঐ কাজটি করেছিল।স্পীকার আমাকে জানিয়েছিলেন সংসদ ভবনে কর্মরত একটি গোয়েন্দা সংস্হার একজন করমবরতা তাকে লিফলেটটি দিয়েছিলেন।
অতি সম্প্রতি দুটি দলের মধ্যে ব্যাংকটি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হলে আমার পুরনো স্মৃতি মনে হওয়ায় আমার মন বলে উঠলো-না,এটা নিয়ে আমার কলম ধরা উচিত। কারন ,আমি বিএনপিরও বীট কভার করা সাংবাদিক এবং সে কারনে দলটির শুভাকাংখিও।
যতদুর মনে পড়ছে-বেগম জিয়ার সরকার প্রথম ব্যাংক কোস্পানী আইনে “মুদারাবা ও মুশরিকা” শব্দ দুটি সংযোজনের মাধ্যমে দেশে ইসলামী ব্যাংকিংকে বৈধ করে দেন।
১৬ বছর নাকি একটি সরকার ব্যাংকটি লুটপাট করে ফতুর করে দিয়েছে।অথচ,এই কাজটিতো করার অধিকার রয়েছে বিএনপির। সে জায়গায় বিএনপি ব্যাংকটি নিয়ে কথাও বলতে পারবেনা?কেউ খাবে-কেউ খাবেনা:তাতো হতে পারেনা। এই বৈষম্য থাকবে কেন?
অবশ্য ১৬ বছর লূটপাটকারী ( কথিত) দলটিও ইসলামী ব্যাককিংয়ের স্বার্থ সংরক্ষনে ২০১৩ সালে আরেকটি সংশোধনী সংসদের মাধ্যমে পাশ করিয়ে দিয়েছে।ব্যাংকটির উদ্যোগ্তা দলটির প্রতি অনুরোধ-বৈষম্য সৃস্টিকারী কথা বারতা পরিহার করে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করুন।
ম,ম,বাসেত
শুভাকাংখী-বিএনপি