।।বিকে রিপোর্ট।।
আড়াই ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দাবি নিয়ে আলোচনায় বাসার আশ্বাসের পর আন্দোলনকরীরা অবরোধ তুলে নিলে
বুধবার ১১ জুন সকাল পৌনে ৯টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ সময় নন্দনগাছি স্টেশন থেকে সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
এর আগে, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় লোকজন।
স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবিতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস থামিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে ছিল-সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং স্টেশনের সংস্কার।
এতে করে মধুমতি এক্সপ্রেস শরদাহ রোড, বনলতা এক্সপ্রেস হরিয়ান, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ও মহানন্দ রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে থেমে যায়। একইসঙ্গে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছাড়া চারটি ট্রেন রাজশাহীর বিভিন্ন স্টেশনে থেমে ছিল।
জানা গেছে, ১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয় নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর এলাকায়, যা নন্দনগাছী স্টেশন নামে পরিচিত। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। নিয়ম অনুযায়ী এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, টিকিট মাস্টার, পোর্টারম্যান, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ জনবল ছিল ১২ জন। বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। শুধু ২টি লোকাল ট্রেন সেখানে থামে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে সুমন নামে একজন বলেন,‘রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক পুরোনো। ট্রেন থামবে বলে লাইন সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু একটি মাত্র নোকাল ট্রেন ছাড়া কোনো ট্রেন থামে না। এর আগে গত ১ মে স্টেশনে ট্রেন থামার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১ জুন থেকে ট্রেন থামানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারা কথা রাখেনি।
পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, নন্দন গাছি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সাধারণ মানুষ আন্দোলন করেছেন। তারা স্টপ-এর যে দাবিতে আন্দোলন করছেন। এতে বেশ কিছু ট্রেন আটকা পড়েছিল। তবে তাদের দাবির বিষয়টি বাস্তবতা পর্যালোচনা করে বিবেচনা করা হবে।’
তবে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সকাল ৯টার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। আগামী ২০ জুনের মধ্যে দাবি মানা না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া করা হবে বলেও জানান তারা।
ঘটনাস্থলে এসে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি আক্তার বলেন, আমরা তাদের দাবিগুলো শুনবো। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।