।।বিকে রিপোর্ট।।
ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রশাসনকে নিতে হবে- বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম
তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যা আওয়ামী লীগকে দুর্বল করেছিল, আর সোহাগ হত্যায় বিএনপির মসনদও ধ্বংস হচ্ছে।
শনিবার ১২ জুলাই বরিশালে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ফয়জুল করীম বলেন, বিএনপি এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করলেও চাঁদাবাজি, খুন ও জুলুম কমেনি। বহিষ্কার কেবল লোক দেখানো ব্যবস্থা মাত্র। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটোই ‘দুর্নীতি-খুনের ফ্যাক্টরি’।
তিনি আরও বলেন, আবরার, ফাহাদদের হত্যাকারীরা একসময় দেশের মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো তাদের খুনিতে পরিণত করেছে। হাজারো মেধাবী তরুণ রাজনীতির নামে ধর্ষক ও চাঁদাবাজে পরিণত হচ্ছে।
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, পুলিশ বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, ‘চাঁদা নিলে পুরস্কার, ধরা পড়লে বহিষ্কার, ভিডিও ভাইরাল হলে গ্রেফতার’—এখনকার নিয়ম এমন।
তিনি ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জুলুমমুক্ত দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে দেশে চাঁদাবাজি থাকবে না, জুলুম থাকবে না, নারী ধর্ষিত হবে না- এমন এক দেশের জন্য চেষ্টা করো। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই পারবে এই দেশকে একদিন অবিচার থেকে মুক্তি দিতে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
পরে সমাবেশ শেষে বরিশাল মহানগরের আয়োজনে সোহাগ হত্যাসহ দেশের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।