।।বিকে রিপোর্ট।।
অনাকাংখিত ঘটনায় ১৮ দিন বন্ধ থাকার পর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা পুনরায় চালু হয়েছে।
শনিবার ১৪ জুন সকাল থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সব সেবা কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে, জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ মে থেকে হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শুধু আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবস্থাপনায় তাদের জন্য খাবার সরবরাহ চলমান ছিল।
সংঘর্ষের প্রায় ১৬ দিন পর, ১১ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোর সেবা চালু হয়। একই সঙ্গে জরুরি বিভাগও আংশিকভাবে চালু ছিল গত তিন দিন ধরে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে ইনডোর, আউটডোর, অপারেশন থিয়েটারসহ সব বিভাগে স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
কিন্তু এখনো আতঙ্ক কাটেনি চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের। তারা বলছেন চালু হলেও আবার যে হামলার শিকার হবেন না- তার নিশ্চয়তা কী? তারা চান নিরাপদ কর্মস্থল।
এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে চক্ষু হাসপাতালে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে ৫৮০ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। সেই হিসাবে এতদিন বন্ধ থাকায় ৫০ হাজারের অধিক রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
জুলাই আহতদের সঙ্গে কিছু চিকিৎসক-কর্মচারীর দ্বন্দ্বে গত ২৮ মে থেকে হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৪ জুন থেকে পুলিশ পাহারায় জরুরি সেবা চালু করা হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল বহির্বিভাগের সেবা ও ভর্তি কার্যক্রম।
গত ২৮ মে ডা. জানে আলমকে চক্ষু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী। তারপর আর তিনি যোগদান করেননি।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সব বিভাগের পুরোপুরি সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গেটে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ রয়েছে। এ ছাড়া ভেতরে গেটের দুই পাশে, চত্বরে এবং বিভিন্ন স্থানে পুলিশ দেখা গেছে। পুলিশের দায়িত্বে থাকা আরিফ মৃধা বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।