।। মো:মাহবুবুল বাসেত।।
জামায়াত পাকিস্তানে ইমরান খানের পিটিআইকে দিয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উথ্থান ঘটাতে পেরেছে। এই কাজটি তারা করিয়েছে পাকিস্তান আর্মীর বিশেষ করে আইএসআইর তাদের সমর্থিত লোকজনকে দিয়ে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী-পিটিআইএর নেতা কর্মীদের ৪৫% হচ্ছে পাকিস্তান জামাতের এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের ( সেখানে নাম- জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া) সাবেক লোকজন।
পিটিআইএর এমএনএর মোট সদস্য সংখ্যারও ( পাকিস্তান ন্যাশন্যাল এসেম্বলী বা পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের) ২৫-২৮% হচ্ছে তাদের আগের লোকজন।তারপরও ইমরান খান টিকতে পারেনি। আর বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়কদের লোকজনেরও ৮৫-৯০% হচ্ছে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক লোকজন-যাদের পেছনে ছিল ইসলামী ছাত্র শিবিরের বর্তমান ও জামায়াতের সশস্ত্র গ্রুপগুলো।
কোটা আন্দেলন দিয়ে শুরু করলেও সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে রাস্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করাই ছিল তাদের মুল টার্গেট।কিন্তু ”গোয়েন্দা তথ্যের বিভ্রাট ঘটিয়ে ও ক্যামোফ্ল্যাক্স তৈরী করে” সরকার প্রধানকে দেশ ছাড়া করতে পারলেও পবর্তীতে কি করবে-বিষয়টি নিয়ে ও আরো নানা কারনে কিংকর্তব্য বিমুঢ হয়ে যাওয়ায় তারা চুড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়নি বলে আপাতত মনে হচ্ছে।তাই তারা আসল পরিকল্পনা ঠিক রেখে বিকল্প হিসাবে এনসিপিকে দিয়ে তৃতীয় একটি রাজনৈতিক শক্তি দাড় করানোর চেস্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে-যারা দৃশ্যত মাঝে মধ্যে জামায়াত বিরোধী কথা বার্তার মাধ্যমে তাদের আসল পরিচয় লুকানোর চেস্টা করে চলেছেন।
কিন্তু. ইতোমধ্যেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়কদের বিতর্কিত কার্যত্রুমের কারনে তারা প্রথম দিকে কিছুটা জনসমর্থন পেলেও এখন প্রায় জনবিচ্ছিন হয়ে পড়েছেন। ফলে এনসিপিকে দিয়ে তারা কতটুকু সফল হবেন-তা অতি সহসা বুজা যাবে।তবে ,সশস্ত্র বিপ্লবের তাদের আসল পরিকল্পনা থেকে তারা সরে আসবে কিনা বা এই পরিকল্পনা আদৌ সফল হবে কিনা তাতে যথেস্ট সন্দেহ রয়েছে এবং হিতে বিপরিতও হতে পারে এবং দলটির জন্যে এক ভয়াবহ অবস্হারও সৃস্টি হতে পারে-যদিও তারা দেশব্যাপী প্রশাসনের সর্বস্তরে তাদের সেটআপ সাজানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে-বিএনপিকে আইওয়াশে রেখে।
তাই শেষ পর্য়ন্ত তাদের সাথে রাজনৈতিক যুদ্ধ বিএনপির সাথে শুরু হবে না আওয়ামীলীগের সাথে নাকি আওয়ামীলীগ+বিএনপির সাথে যোথভাবে শুরু হবে তা দেখার জন্যে আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।ড.ইউনুসের নামটি তারা সামরিক বাহিনীর তাদের সমর্থিত অংশের মাধ্যমে ছাত্রদেরকে দিয়ে প্রস্তাব করিয়েছে আমেরিকাকে ম্যানেজ করার জন্যে। কিন্তু ,প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মার্কিন প্রশাসন আগেও এবং এখনো সরাসরি গীভরভারে সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসেনি এবং আসবেনা-যা হচ্ছে তা লোক দেখানো বা তাদের স্বাভাবিক চলমান প্রত্রিযার অংশ-অন্যান্য দেশের ব্যাপারে যা হয় তাই। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বা এখন দেশে অবস্হানরত অবস্হায় সহসা কার্যত্রুম শুরু করলে গোটা রাজনৈতিক পরিস্হিতি ঊলট পালট হয়ে যাবে-তবে তা সহনশীল পর্যায়েই থাকবে( এটি একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষনধর্মী লেখা-এর সাথে দ্বিমত পোষন করার অধিকার ও সুযোগ সবারই রয়েছে)