টানা দুই জয়ের পর প্রথম হারের মুখ দেখল মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স। অন্যদিকে টানা দুই হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। সিলেটে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে রাজশাহী।এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
শুক্রবার ১০ জানুয়ারি বিপিএলের ১৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছুটির দিনে গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সামনে আগে ব্যাট করে খুলনাকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। এতে ২৮ রানের জয় পায় রাজশাহী। এই জয়ে টুর্নামেন্টে তাদের পয়েন্ট হলো ৪। অন্যদিকে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া খুলনার পয়েন্ট ৪।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রান তুলেছে দুর্বার রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন রায়ান বার্ল।
জবাব দিতে নেমে ১৫০ রানে থেমে যায় খুলনা টাইগার্স। রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার উইলিয়ামকে। দলীয় ২৬ রানে তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজও। ৭ বল মোকাবিলা করে ১ রানের বেশি করতে পারেননি খুলনার অধিনায়ক। আরেক ওপেনার নাইম শেখ থিতু হয়ে হতাশ করেছেন। ২৮ বলে ২৪ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হয়েছেন তিনি।
মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন আফিফ হোসেন। তবে তিনিও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে পারেনি খুলনা টাইগার্স।
এর আগে টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ঠিকঠাকই করে রাজশাহী। কিন্তু বেশিক্ষণ ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে শুরু হয় রাজশাহীর উইকেট হারানোর মিছিল।
খুলনার স্পিনার নাসুম আহমেদ খোলেন প্রথম উইকেটের খাতা। মোহাম্মদ হারিসকে বোল্ড করে খুলনাকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ২৭ রান করে থামেন হারিস।
ওয়ানডাউনে নামা এনামুল হক বিজয়কেও টিকতে দেননি নাসুম। ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানেই বিদায় নেন অধিনায়ক বিজয়। চারে নামা মেহরাবকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিসান আলম থিতু হওয়ার আভাস দিয়ে ক্যাচ দেন নাইম শেখের হাতে। ২২ বলে ২৩ রান করে শেষ হয় তার ইনিংস।
৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বিপদে পড়ে যায় রাজশাহী। সেখান থেকে হাল ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি ও রায়ান বার্ল। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে মোটামুটি লড়াইয়ের পুঁজি পায় রাজশাহী।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ২৯ বলে ৪৮ রান করেন জিম্বাবুইয়ান বার্ল। যাতে ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কা। ইয়াসির আলি খেলেন ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস। শেষ দিকে নেমে কিপার আকবর আলি খেলেন ২১ রানের ক্যামিও।
নাসুম আহমেদ ২০ রানে ২টি আর মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।