।।বিকে রিপোর্ট।।
লিবিয়ার বেনগাজীতে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকে পড়া ১৪৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ভোরে এসব বাংলাদেশি বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এসব বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিনা খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
দেশে ফেরার পর তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
ফিরে আসা বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এ ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সবাইকে আহ্বান জানান।
আইওএম এর পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ছয় হাজার করে টাকা কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এক সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।