।।বিকে রিপোর্ট।।
মোবাইল আর্থিক সেবাখাতে (এমএফএস) প্রতিযোগিতা বাড়াতে সরকার নগদকে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, আমরা এমএফএস খাতের কার্যক্রম ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে চাই। তাই সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমরা নগদকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিনিয়োগকারী আনব।
বুধবার ২৭ আগস্ট ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আইসিএমএবি ও মাস্টারকার্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫ ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেব।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, এমএফএস নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের হাতে এখনো কেবল একটি বড় প্রতিষ্ঠানই আছে। এই খাতে আরও কার্যক্রম, প্রতিযোগিতা ও নতুন বিনিয়োগ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নগদকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার এবং বিনিয়োগ আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, বর্তমানে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত নগদকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। কারণ ডাক বিভাগের এখন এটি চালানোর সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগদে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়েছে। আগের মালিকদের কারণে ইওসি-সংক্রান্ত নানা অনিয়মের যে সমস্যাগুলো ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি ভুয়া কিংবা অকার্যকর হিসাব বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি পুনর্গঠনের পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, ডাক বিভাগ নগদ পরিচালনা করার সক্ষমতা রাখে না। আমরা চাই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসুক এবং নগদে বিনিয়োগ করুক। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নতুন বিনিয়োগকারী পাওয়ার আশা করছি।’
নগদ টাকার ওপর বাড়তি নির্ভরতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রতিবছর নগদ টাকা মুদ্রণ ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে আমরা ডিজিটাল অর্থনীতিতে যাব?
সামিটে ব্যাংক ও ফিনটেক খাতের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ার সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।