শিরোনাম :
নেপালের অর্ন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে জাতিসংঘে নতুন প্রস্তাব পাস কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে ইসি পুলিশের ভোজসভায় যুবলীগ সভাপতি: সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বরের মৃত্যু : এলাকায় শোকের ছায়া লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা : ভেঙে দেওয়া হলো সংসদ, ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত : বিআরআই এক্সিবিশন ২০২৫ জাকসু নির্বাচন: তিন দিন ধরে চলছে ভোট গণনা দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা : ভেঙে দেওয়া হলো সংসদ, ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন

  • আপলোড টাইম : ১১:২৫ এএম, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

শুক্রবার ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন নারী প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব নিলেন কার্কি। নেপালের সংবাদমাধ্যম খবর হাব- এর প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

শপথ গ্রহনের পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। একইসঙ্গে আগামী বছরের মার্চে নতুন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।

প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, গতকাল রাতেই শপথ নেন সুশীলা কার্কি। সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই আইনজীবী দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন। তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ছোট পরিসরের অন্তর্বর্তী সরকার, যার মেয়াদ হবে ছয় মাস। এই সময়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব তাদের হাতে থাকবে।

প্রেসিডেন্ট পাওডেল সংবিধানের ৬১ অনুচ্ছেদের অধীনে কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত সব সরকারই ৭৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল। তবে জেন-জিদের আন্দোলনের সমর্থনে আসীন হওয়া কার্কির নিয়োগকে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান এবং জেন-জি আন্দোলনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। শুক্রবার দিনভর টানটান আলোচনার পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছায় প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। আলোচনায় সবার সম্মতি নিয়ে কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনা হয়। এটি ছিল আন্দোলনকারীদের মূল দাবি। শীতল নিবাস ঘেরাওয়ের হুমকির মুখে প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করেন।

কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারক থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আস্থা অর্জন করেছেন।

১৯৫২ সালের ৭ জুন বিরাটনগরে জন্মগ্রহণ করেন সুশীলা কার্কি। তিনি নেপালের সর্বোচ্চ আদালতের একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন।

২০০৮ সালে নেপাল বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হন কার্কি। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হন তিনি। এক বছর পর পদটি স্থায়ী করা হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান কার্কি।

তবে ২০১৭ সালের এপ্রিলে নেপালি কংগ্রেস ও মাওবাদী কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনে। এর পেছনে উচ্চ আদালতের এক রায়ের বিরোধিতা করা হয়। জনমতের চাপ ও সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় সরকার।

রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে কার্কি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। নব্বইয়ের গণআন্দোলনে তিনি সরাসরি অংশ নেন এবং এ সময় কারাবন্দি হন। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি পরবর্তীতে কারা নামে একটি উপন্যাস লিখেন।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech