।।বিকে রিপোর্ট।।
লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা প্রান্তরে বিরাজ করছে এক পবিত্র পরিবেশে।
আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার ৭ জিলহজ সন্ধ্যার পর মক্কার মসজিদুল হারাম কিংবা নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরের মিনা অভিমুখে রওনা হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এরই মধ্যে ‘তাবুর শহর’ হিসেবে পরিচিত মিনায় সমবেত হয়েছেন লাখো মুসল্লি। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মিনায় অবস্থান করছেন ৪ লক্ষাধিক হজযাত্রী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত থেকেই মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে বৃহস্পতিবার ৯ জিলহজ তারা রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্ব—খুতবা।
মূলত আরাফাতে অবস্থান করাকেই হজের কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবারে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজ পালন করছেন। হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকার নিয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করার নানা উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৮ থেকে ১৩ জিলহজের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালিত হয়। এই সময় চার দিনের ধর্মীয় রীতিতে অংশ নেন হাজিরা।
এদিকে, সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, এ বছর আরাফার দিন খুতবা প্রদান করবেন খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। রাজকীয় এক আদেশে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে তিনি এই ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন।
৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।