Breaking News:


শিরোনাম :
সোহাগকে হত্যার নেপথ্যে কী, প্রাথমিক তদন্তের ফল জানাল পুলিশ সরকার কোনোভাবেই মব জাস্টিস বরদাশত করে না: রিজওয়ানা হাসান মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকান্ড: ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত আটক বাংলাদেশিদের তদন্তে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নৃশংসভাবে সোহাগ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান মির্জা ফখরুলের মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন

  • আপলোড টাইম : ১২:১৭ পিএম, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১১ Time View

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন।

রবিবার ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার।

পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব লাভ করেন।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

১৯৯৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে নৌকা প্রতীবে নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাদের নিয়ে ২০০৭ সালে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠিত হলে সফিউল্লাহ ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তিনি এ সংগঠনের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে একদল সেনাসদস্য যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে, তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সফিউল্লাহ।  

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech