মনে রাখবেন এটা বাংলাদেশ- আর দশটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মান এক নয়। রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে যদি অশোভন বা অশ্লীল শব্দ উচ্চারিত হতে পারে – তাহলে তা সাংবাদিকের লেখায় স্হান পেলে সমস্যা কি? “আমি দোষের কিছু মনে করিনা। তাই বলা যায় : সাংবাদিকের চোখে অশ্লীল বা অশোভন শব্দ বলে কিছু নেই- যা ঘটে তাই তারা লেখে। ৭০-র নির্বাচনে রাজপথের শ্লোগান: তখন স্কুলের ছাত্র-বলতে পারেন এখনকার টোকাই। তবে , এখনকার ”ধমন্বয়কদের” মত এত খারাপ নয়।
(১) “ভেট দিলে পাল্লায়-পোন মারিব মোল্লায়”।(সরি)
(২) লাইলাহা ইলল্লাহ-নৌকার মালিক তুই আল্লাহ।
এটি ছিল আওয়ামীলীগের শ্লোগান- রাজপথে/দেয়ালের লিখনে।
আওয়ামীলীগ যে কি চিজ-বুজেন কিছু?
এরশাদের আমল-৮০-র দশকের শেষ দিক:
(১) “অলি-গলিমে শোর হায়-এরশাদ চোর হায়”।
এরশাদই এখন পর্যন্ত দেশের একমাত্র সেনা প্রধাণ/সরকার প্রধান/রাস্ট্রপ্রধান-যিনি সর্ব্বোচ্চ আদালত আপীল বিভাগে সাজাপ্রাপ্ত। তাকে আপনি চিতকার দিয়ে চোর ডাকলে আপনার কোন অপরাধ হবে না। শ্লোগানটি ছিল জাতীয় পার্টি ছাড়া আন্দোলনরত বাকী প্রায় সব দলের।
বেগম খালেদা জিয়া-৯৪-৯৬:
(১) “খালেদা জিয়ার দুই গুন- ভোট ডাকাতী আর মানুষ খুন “।
এটি ছিল বিএনপি ছাড়া আন্দোলনরত আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসর জামায়াত ও জাতীয় পার্টি সহ প্রায সব দলের। ১৪৭টি আসনে উপ নির্বাচন দিয়েও নির্বাচন করতে না পারায় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আবার নির্বাচন দেয়। ঐ নির্বাচনেও বিএনপিও হাতে পায়ে ধরে নির্বাচনে আনা কর্নেল(অব) আবদুর রশিদের ফ্রীডম পার্টি(কর্নেল (অব)ফারুকের অংশ আসেনি) ছাড়া আর কোন দল আসেনি। এ নির্বাচনের আগেই ৪৮টি আসনে কোন প্রাথী না থাকায় বিনা প্রতিদন্ধিতায় তাদেরকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। অসংখ্য ভোট কেন্দ্র আওয়ামীলীগ ও দোসর জামায়ত জাতীয় পার্টির লোকেরা জ্বালিয়ে পুডিয়ে দেয়।বেগম খালেদা জিয়া পাচটি আসনে দাডালেও তিনটিতে তাকে নির্বাচত ঘোষনা করা হয় এবং দুটির নির্বাচন ভোট চলা অবস্হায় বন্ধ ঘোষনা করে দেয়া হয়।আরো অনেক/অনেক/অনেক কাহিনী আছে। সবার প্রত্যাশা ছিল এরশাদের পতনের পর দেশ সুন্দরভাবে এগুবে। শ্লোগানটি ঐ সময়কার।
শেখ হাসিনার শেষ সময় ২৩-২৪ সাল:
(১) “ছি:ছি; শেখ হাসিনা-লজ্জায় বাঁচিনা”।
এই শ্রোগানটির রচয়িতাও ধারনা করা হয় বামপন্হীরা।
সর্ব শেষ ম্লোগান: ২৪-২৫ সাল:
(১) ”দুই সাপের একই বিষ-নৌকা আর ধানের শীষ”।
দু:খের বিষয়-কোন দলের সরকারই অতীতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অনুকলে ছিলনা। জামায়াত দুবার বিএনপি সরকারের অংশীদার ছিল। একবার মন্ত্রীত্ব ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন নিয়েে আরেকবার দুই মন্ত্রী নিয়ে। জাতীয় পার্টিরও একই অবস্হা। তাই সত ও পেশাদার সাংবাদিকদের শ্লোগান হওয়া উচিত :
”চার সাপের একই বিষ-লাঙ্গল/দাড়িপাল্লা/নৌকা আর ধানের শীষ”।
-ম,ম,বাসেত
(সাবেক পলিটিক্যাল /সংসদ রিপোর্টার)
(মন্তব্য :পেশাদারিত্বের কারনে আমি সে বিষে আত্রুান্ত। মুখ খুলে বলতে পারিনি কখনো-কখনো বলতে পারবোনা সে কাহিনী।কারন .ঘুরে ফিরে সে প্রেতাত্বারাই ক্ষমতার মসনদে থাকে। এই লেখার সাথে পরে ধমন্বয়ক/এনসিপির কাহিনীও যুক্ত হবে কোন এক সময়ে। স্মৃতি থেকে লেখা। কস্ট পেলে মাফ করে দেবেন )।