Breaking News:


শিরোনাম :
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন সিইসি আগামীকাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা মামলার রায়- আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাস, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে নৌকাডুবি, ৪ জনের মৃত্যু ময়মনসিংহে কভার্ড ভ্যানে আগুন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির দুইদিনের কর্মসূচি ঢাকার হাজারীবাগে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ও সিলেটে হাসপাতালের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল, ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের দুই দফায় ইসির সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে তৃণমূল বিএনপিসহ ১২ দল আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে নৌকাডুবি, ৪ জনের মৃত্যু

  • আপলোড টাইম : ১২:২৮ পিএম, রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার আল-খুমস উপকূলে উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার ১৬ নভেম্বর দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সূত্রে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এছাড়া একই উপকূলে অর্ধশতাধিক সুদানিসহ পৃথক আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় ঘটনায় অবশ্য হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

রেডক্রিসেন্ট জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খুমসের উপকূলে দুটি নৌকা উল্টে যাওয়ার খবর পায় তারা। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ জন অভিবাসী। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

দ্বিতীয় নৌকাটিতে ৬৯ জন ছিলেন। এর মধ্যে দুজন মিসরীয় এবং ৬৭ জন সুদানি নাগরিক। তাদের মধ্যে আটজন শিশু ছিল।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিতদের উদ্ধার। এছাড়া মৃতদের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজও তারা করে।

মূলত অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়।

বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে। গাদ্দাফির শাসনামলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় কাজ পেত, কিন্তু তার পতনের পর থেকে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াদের সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।

অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বলছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে থাকে।

অবশ্য অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গেই নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ইউরোপের দেশগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান ধাপে ধাপে বন্ধ করায় সমুদ্রযাত্রা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোও বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে দমনমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, চলতি বছর মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এক হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech