মালয়েশিয়ায় আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৫ এর প্রথম খেলায় একতরফা লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেপালের পক্ষে খুব শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। নেপালের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ৪০ বল হাতে থাকতেই ৫ উইকেটে জয় লাভ করে বাংলাদেশ।
শনিবার ১৮ জানুয়ারি টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫২ রান করে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন সানা পারভিন। জবাবে খেলতে নেমে ১৩ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
খেলা শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলাররা আধিপত্য বিস্তার করে, বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতে শুরুতেই দিশেহারা করে নেপালকে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৫২ রানে আউট করে। জান্নাতুল মাউয়া অসাধারণ পারফরমার ছিলেন, তার চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। জান্নাতুল মাওয়া-নিশিতা নিশিদের ঘূর্ণি ধাঁধার সমাধান জানা ছিল না নেপালের ব্যাটারদের। তাতে ৫ উইকেটের সহজ জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশের মেয়েরা।
৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেট রানরেট মাথায় রেখে আক্রমণাত্মক শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের এমন সাহসী সিদ্ধান্ত খানিকটা দুশ্চিন্তায় ফেলে সমর্থকদের। ১১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, ফাহমিদা ছোঁয়া ও জোরাইয়া ফেরদৌস।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সুমাইয়া ইসলাম ও সাদিয়া আক্তার দলকে টেনে তোলেন। ১৬ রান করে সাদিয়া ফিরলে ভাঙে ২১ রানের জুটি। তবে ততক্ষণে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাকি কাজটা আফিয়া ইরা ও জান্নাতুল মাওয়া দ্রুতই সেরেছেন। তাতে ৪০ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে এদিন শুরু থেকেই ভুগেছে নেপালের ব্যাটাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাবিত্রি ধামীকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নিশিতা নিশি। তিনে নেমে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পূজা মহৌত্র। তবে ১৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করেছেন তিনি।
অধিনায়ক ফেরার পর আর কেউই সানা পারভিনকে সঙ্গ দিতে পারেননি। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রমক ছিলেন সানা। ৩২ বলে ১৯ এসেছে তার ব্যাট থেকে।
নিশিতা আক্তার এবং শ্রীমতি আনিসা আক্তার একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন এবং পাঁচজন নেপালি ব্যাটার রানআউট হন। বাংলাদেশের হয়ে ১১ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার জান্নাতুল মাওয়া। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন আনিসা আক্তার সুবা, ফাহমিদা ছোঁয়া ও নিশি।