।।বিকে ডেস্ক।।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের অপুষ্টি হ্রাস করার লক্ষ্যে ৫,৪৫২.৪২ কোটি টাকার খাদ্য কর্মসূচি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
রবিবার ২৩ মার্চ শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, সভায় মোট ২১,১৩৯.৪৫ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ১৪,১৯৩.৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে, ৬,৫৩৯.২৯ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এবং বাকি ৪০৬.৫৯ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।’
অনুমোদিত ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন এবং আটটি সংশোধিত প্রকল্প।
স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হার এবং উপস্থিতি বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা।
এই কর্মসূচির আওতায়, প্রায় ১৫০টি উপজেলার ১৯,৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩.১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচটি কর্মদিবসে পুষ্টিকর খাবার যেমন ফোর্টিফাইড বিস্কুট, কলা/মৌসুমী ফল, বান (পাউরুটি), ডিম এবং ইউএইচটি দুধ (পাস্তরিত দুধ) দেওয়া হবে।
আটটি বিভাগের ৬২টি জেলার ১৫০টি উপজেলার প্রকল্প এলাকাগুলো গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর মাধ্যমে দারিদ্র্য ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রকল্প সম্পর্কে মন্তব্য করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই জাতীয় শুকনো খাবার বিতরণের সময় কঠোর ব্যবস্থাপনা ও তদারকি নিশ্চিত করা হবে যাতে স্থানীয় বাজারে স্বার্থান্বেষী মহল এই ধরণের খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করতে না পারে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিকভাবে খাদ্য সামগ্রী পায় সেজন্য ইউএনওদের যথাযথভাবে কর্মসূচিটি পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া সমস্যার সমাধান করবে এবং এর ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে রাখা সম্ভব হবে।