শিরোনাম :
যমুনা অভিমুখে জবি’র লংমার্চ ছত্রভঙ্গ : পুলিশের লাঠিপেটা–কাঁদানে গ্যাসে রণক্ষেত্র কাকরাইল মোড় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান : আপিল শুনানি গ্রহণ করেছেন আদালত তিন দফা দাবিতে যমুনা অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই, জবাব দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে’ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসংগে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া ২ ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে এনআইডি প্রদান: বাগেরহাটে ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন  আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশের প্রেস সচিবের জবাব সৌদির সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা

২ ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে এনআইডি প্রদান: বাগেরহাটে ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • আপলোড টাইম : ১২:১৬ পিএম, বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ১৬ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
ভারতীয় দুই নাগরিককে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান করার অভিযোগে বাগেরহাটে একজন নির্বাচন কর্মকর্তা, একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও এক সাবেক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার ১৩ মে বাগেরহাট দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন—বাগেরহাট সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা এবং বর্তমান বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার, চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন এবং আড়য়াবর্ণি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন মোল্লা। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিনকে।

অভিযোগ অনুযায়ী, শ্রী ফণিভূষণ ও প্রতুল চন্দ্র মণ্ডল ভারতীয় নাগরিক হলেও আড়ুয়াবর্নি গ্রামে থাকা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির জন্য স্থানীয় মোশাররফ হোসেন মোল্লা দুজনকে দেশে নিয়ে আসেন। পরে ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করান। পরে চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করেন। এই সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে এনআইডি সংগ্রহ করা হয়।

দুদক সূত্র বলছে, ওই আবেদনে নির্ধারিত ফরমে ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারিতে ফণিভূষণ মন্ডল এবং ১৯৫৩ সালের ৪ এপ্রিল প্রতুল মন্ডলের জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়। আবেদনের ৪ দিন পর তাদের দুই ভাইকে জন্ম নিবন্ধন দেন চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন। এরপর ওই জন্মনিবন্ধন দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন তারা। যার প্রেক্ষিতে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র (১৯৪৮০১২০৮০০০০০০০১) ইস্যু করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফণিভূষন ওরফে মনি মন্ডলের নামে করা জাতীয় পরিচয়পত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফণিভূষন ওরফে মনি মন্ডলের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে। কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয় ২০১৭ সালে। যা তার জন্মের ৬৯ বছর পর। ভোটার তালিকা হতে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে ভোটার নিবন্ধন ফরমের ৩২নং ঘরে উল্লেখ করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য এলাকার বাইরে থাকা।

ফণিভূষন ওরফে মনি মন্ডলের বাবার নাম মৃত শশধর মন্ডল দেওয়া হলেও তৈরি করা জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম মৃত রবীন্দ্রনাথ মন্ডল। ভোটার নিবন্ধন ফরমের ৭ নং ঘরে বাবার মৃত্যু হয়েছে ১৯৪৪ সালে। সে অনুযায়ী, পিতার মৃত্যুর ৪ বছর পরে ফনিভূষনের জন্ম।

ফরমে শনাক্তকারী হিসেবে সুষেন মন্ডল নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ব্যবহার করে তার স্বাক্ষর জাল করে সনাক্তকারী হিসেবে দেখানো হয়। আর ফণিভূষন ওরফে মনি মন্ডলের বর্তমান ঠিকানা দেওয়া হয় বাগেরহাট পৌরসভার সোনাতলা গ্রাম।

তবে তদন্তকালে দুদক ওই এলাকায় সেই ব্যক্তির কোনও অস্তিত পাওয়া যায়নি। এমন আরও অনেক জাল জালিয়াতি হয়েছে এবং ওই এনআইডি ব্যবহার করে ফনিভূষণকে দাতা দেখিয়ে সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে।

দুদক বলছে, তিন আসামি পরস্পরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech