।।বিকে রিপোর্ট।।
দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার ১৮ এপ্রিলের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম দেওয়া নদীবন্দরগুলোর পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়।
পূর্বাভাসে তিনি বলেন, রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারী আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডট কমে আবাহওযা গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন,
শুক্রবার সকাল ৮ টার পর থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাপাইনবাবগন্জ, পাবনা, নাটোর, সিরাজগন্জ এবং খুলনা বিভাগের উত্তর দিকের জেলাগুলো (কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর) উপর দিয়ে তীব্র বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টিপাত অতিক্রমের সম্ভাবনা প্রায় ৯৯%।
সতকর্তা হিসেবে তিনি এই জেলাগুলোর কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের দুপুর ১২ টার মধ্যে খোলা মাঠে কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দান করেন। এছাড়াও নেত্রকোনা, সুনামগন্জ ও হবিগন্জ জেলার কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের দুপুর ১২ টার মধ্যে খোলা মাঠে কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সম্পূর্ন রুপে নিষেধ করা যাচ্ছে। বজ্রপাতের সম্ভাবনা প্রায় ১০০%।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিন দিনাজপুর জেলার দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর উপরে প্রথমে বৃষ্টি শুরু হয়ে পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।