Breaking News:


শিরোনাম :
ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বাণী আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস জুলাই মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা হবে: প্রধান উপদেষ্টা করোনায় ১ জনের মৃত্যু: জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার নির্দেশনা ‘ফিরোজা’য় ঈদ করবেন খালেদা জিয়া কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : নিহত ৩, বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটারজুড়ে ধীরগতি : ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মিনায় ফিরছেন হাজিরা ঈদ ছূটিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি

মার্কিন পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান : ইরানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বললেন খামেনী

  • আপলোড টাইম : ১২:২৯ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ১৫ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, পারমাণবিক চুক্তির জন্য মার্কিন প্রস্তাব দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে। তিনি বলেন, তেহরান তার সিদ্ধান্তের জন্য ওয়াশিংটনের অনুমোদন চাইবে না।

বুধবার ৪ জুন টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।   

তেহরান থেকে এএফপি জানায়, প্রস্তাবটি ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আদর্শের ‘শতভাগ বিরুদ্ধে’ বলে উল্লেখ করে খামেনি বলেন, ‘স্বাধীনতার অর্থ আমেরিকা এবং আমেরিকার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করা নয়।’

তিনি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল চাবিকাঠি এবং শত্রুরা এর ওপর মনোনিবেশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রস্তাব ‘আমাদের জাতির আত্মনির্ভরতার সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটি ১০০% আমাদের দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে।’

খামেনি মার্কিন নেতাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে বলেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করা উচিত কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আপনি কে?

ওমানের মধ্যস্থতায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। তবে মার্কিন প্রস্তাবের ওপর ইরানের কঠোর অবস্থানের ফলে অগ্রগতি সীমিত।

ইরান যাতে পারমাণবিক চুক্তিতে আসে সেজন্য জানুয়ারি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি অনুসরণ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্ভাব্য বোমা হামলার হুমকি। এর ফলে ইরানের অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে এবং দেশটি জ্বালানি ও পানির সংকট, মুদ্রার পতন, এবং আঞ্চলিক সংঘর্ষসহ বিভিন্ন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

ইরান বরাবরই জোর দিয়েছে যে তাদের পারমাণবিক প্রযুক্তি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে এবং তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এদিকে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলার হুমকি দিচ্ছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্পের পদত্যাগ এবং নিষেধাজ্ঞার পুনর্ব্যবহার ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়ে তুলেছে। এই অবস্থায়, ইরান তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যা উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech