।।বিকে রিপোর্ট।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও তার বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার ২৯ জুন সকালে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
তিনি জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আজ ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়ানোর অভিযোগে অনিক, সুমন, রমজান ও বাবুকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে এই ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারী সূত্রে ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন।
এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে। সেই সময় কয়েকজন ওই নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করেন।
ওই নারীর পাশের বাড়ির প্রতিবেশি গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করি।
এ সময় কিছু লোক তাকে মারধর ও ভিডিও করেন। পরে তারা বুঝতে পারেন ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখন লোকজন ফজর আলীকে মারধর করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় একটি ভিডিও গতকাল শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযানে নামে। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা মামলা করা হবে। ফজর আলী বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং সুস্থ হলে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।