।।বিকে রিপোর্ট।।
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে।
ইতিহাস, শোক ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদতের স্মরণে দিনটি ইসলামের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত।
রবিবার ৬ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নফল রোজা ও ইবাদতে মগ্ন ছিলেন মুসলমানরা। তাজিয়া মিছিল, দোয়া, মিলদ মাহফিল বিভিন্ন ভাবে পালিত হয় দিনটি।
শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে বের হয়েছে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল।
দিনটি উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে। আসুন এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্যকে ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকলে বেশি বেশি নেক আমল করি। সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পবিত্র আশুরার এই দিনে আমি মুসলিম উম্মা’র ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করছি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মুফতি মাওলানা মো. মুজির উদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেছেন ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ।
আশূরার রোজার ফজিলত বর্ণনায় হাদিস অনুযায়ী, আশুরার রোজায় পূর্ব বছরের গুনাহ মাফ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার আগের দিন (৯ মহররম) ও আশুরার দিন (১০ মহররম), অথবা আশুরার দিন ও পরের দিন (১১ মহররম) রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সারাদেশে ধর্মপ্রান নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই দুদিনের রোজা পালন করছেন।