।।বিকে রিপোর্ট।।
মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যা মামলায় সজীব বেপারী এবং রাজীব বেপারী আপন দুই ভাইয়ের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ১৪ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানিকালে বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান তাদের, আইনজীবী আছে কি না। তখন তারা বলেন, নেই। এ সময় আসামি রাজীব বলেন, সজীব বেপারী আমার বড় ভাই। আমি কিছু করিনি। আমি নির্দোষ। এরপর তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এদিকে, একই ঘটনার অস্ত্র মামলায় ২ দিনের রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তি প্রদানকারী আসামি তারেক রহমান রবিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমান গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলার গত ১৩ জুলাই আসামি মো. আলমগীর এবং মনির ওরফে লম্বা মনিরের ৪ দিনের, গত ১০ জুলাই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড এবং গত ১২ জুলাই আসামি টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহত লাল চাঁদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের এমন বিবরণ উঠে এসেছে।
এই ঘটনায় গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।