শিরোনাম :
খুলনায় জুলাই আন্দোলনের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: ৩৬ দিনের কর্মসূচি সমূহ জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইরানে মার্কিন হামলায় ক্ষয়ক্ষতি প্রত্যাশার তুলনায় কম: ওয়াশিংটন পোস্ট জুলাইয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের উপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা ১ জুলাই : স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ পতনের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’র সূচনা আজ ব্যাংক হলিডে : বন্ধ থাকবে লেনদেন ৮টি অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে সাভার থেকে উদ্ধার

অর্থ পাচার বন্ধে সদিচ্ছা জরুরি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

  • আপলোড টাইম : ০১:৪৫ পিএম, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২২ Time View

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সাধারণভাবে বাংলাদেশে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

একদিকে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ নেই। অপরদিকে তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। কী কারণে এটি হচ্ছে তা বোঝা দরকার।

তিনি বলেন, এ টাকা পাচারের কয়েক কারণ হতে পারে। যেমন তারা বিনিয়োগের পরিবেশ পাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছে না। অথবা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি তাদের আস্থা নেই।

সামগ্রিকভাবে কেন উচ্চবিত্তরা দেশে টাকা রাখে না, সেটি অত্যান্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আবার যদি এ ধরনের কাজ আইনের আওতায় না এনে প্রশ্রয় দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে এটি বাড়তে থাকবে। এ অবস্থার উত্তরণে আমরা বড় ধরনের সংস্কারের কথা বলছি।

তারমতে, টাকা তছরুপের তিনটি খাত আছে। এগুলো হলো- ব্যাংকিং খাত, শেয়ারবাজার এবং আমদানি খাত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানির নামে বিদেশে পাচার করা হয়। ফলে খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ইংরেজিতে একটি কথা আছে, যা হলো লিকেজ, ইভেশন এবং মানি লন্ডারিং।

লিকেজ হলো কর আদায় দুর্বলতা। কিছু লোক কিছু কর দেয়। ইভেশন হলো কিছু কিছুই দেয় না। আর মানি লন্ডারিং হচ্ছে- কিছু লোক টাকা না দিয়ে তা দেশের বাইরে পাচার করে।

আর দেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতা নির্বাচনকালীন সময় টাকা পাচার বৃদ্ধি পায়। তার মতে, আর পাচার বন্ধের ব্যাপারে সরকারের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে বলে মনে হয় না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকলে পানামা পেপার্স এবং প্যারাডাইস পেপার্সে যাদের নাম আছে, তাদের ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হতো। সরকারের আর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না থাকলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অন্যান্য সংস্থা যতই বাহ্যিক তৎপরতার কথা বলুক, তাতে কোনো লাভ হবে না।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech